Tuesday, May 28, 2013

হঠাৎ করেই ডিনামাইট আবিষ্কার


ডিনামাইট এবং নোবেল প্রাইজের কথা সবাই জানেন। নোবেল প্রাইজের পেছনে থাকা শ্রদ্ধেয় আলফ্রেড নোবেলও সর্বজন বিদিত একজন ব্যক্তি। বিস্ফোরক আবিষ্কারের উপর গবেষণার কথাও সবার কমবেশী জানা। আজ আমি তোমাদের বলব ডিনামাইট আবিষ্কারের গল্প। কিভাবে নোবেল ভাইজান ডিনামাইটের সন্ধান পেলেন! ডিনামাইট! হুম, যা বদলে দিলো যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি।

সুইডেনের একজন বিখ্যাত রসায়নদিন এবং ইঞ্জিয়ার হলেন আলফ্রেড নোবেল। নোবেল সহকর্মীদের নিয়ে নাইট্রোগ্লিসারিন স্টাবিলাইজ করার চেষ্টা করছেন। নাইট্রোগ্লিসারিন হচ্ছে একধরণের বিস্ফোরক তরল পদার্থ। নাইট্রোগ্লিসারিন অল্পতেই বিস্ফোরিত হয়। ছোটখাট কিছু বিস্ফোরণ হতে লাগল। ১৮৬৪ সালে সুইডেনের স্টকহোলে একটা বিস্ফোরন ঘটে। কয়েকজন লোক মারা যায়। তার মধ্যে আলফ্রেড নোবেলের ছোট ভাইও ছিলেন। নোবেল মানসিক ভাবে ব্যাথিত হলেও ভেঙে পড়েন নাই। তিনি দৃঢ় মনোবল নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে লাগলেন।




নাইট্রোগ্লিসারিনের এই ইনস্ট্যাবিলিটির ধর্মের উপর ভিত্তি করে তিনি বিস্ফোরক সঙ্গরক্ষণ করতে শুরু করলেন। একদিন নাইট্রোগ্লিসারিনের পাত্র সরানোর সময় নোবেল খেয়াল করলেন একটি ক্যান ভাঙা। তরল নাইট্রোগ্লিসারিন গড়িয়ে পড়ার কথা। কিন্তু পাত্রের ভেতরে জমাট বেঁধে আছে। একটি সেডিমেন্টারি রক মিক্সার নাম কাইজেলঘুর (kieselguhr) তরলকে শুষে নিয়েছে। তরল অবস্থায় নাইট্রোগ্লিসারিন নিয়ে নাড়াচড়া করা বিপদজনক। এই ঘটনা থেকে নোবেল আবিষ্কার করলেন যে বিষ্ফরকের সাথে স্টাবিলাইজার হিসেবে kieselguhr মেশালে এটা স্টাবিলাইজ হয়ে পড়ে। নোবেল একটি ফর্মুলা দাড় করালেন যাতে কাইজেলঘুরের সাথে তরল বিষ্ফোরক মেশালে তার কর্মক্ষমতা নষ্ট না হয়।

১৮৬৭ সালে তার আবিষ্কৃত পণ্যের প্যাটেন্ট নাম নিবন্ধন করলেন ডিনামাইট (dynamite) নামে। এই আবিষ্কার থেকে নোবেল বিপুল পরিমান অর্থ অর্জন করেন। নোবেলের ডিনামাইট আবিষ্কারের পেছনে প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরী করা। কিন্তু যুদ্ধ বিগ্রহে বিপুল পরিমানে ডিনামাইট ব্যবহার হতে থাকলো। যুদ্ধের বিভীষিকা নোবেলকে ব্যাথিত করল। তিনি মৃত্যুর আগে এক উইল করে গেলেন। সেই উইলের হাত ধরে প্রবর্তিত হলো নোবেল প্রাইজ। যা আজকের বিশ্বের সব থেকে সম্মানিত পুরষ্কার।
প্রথম বাঙালী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং প্রথম বাংলাদেশী ড: মুহাম্মদ ইউনুস নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় আমরা গর্ববোধ করি।

Sunday, May 26, 2013

৪ দশক পেরিয়ে সেলফোন || কতোটা পাল্টে দিতে পেরেছে আমাদের জীবন যাত্রা?


সেলফোন সম্বন্ধে এখন আর কোন কিছু চিন্তা না করেই একে আমাদের প্রতিমুহূর্তের সঙ্গী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা যায়। আজ কিছু আলোচনা করবো আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী এই মোবাইলকে নিয়ে।
history-of-cell-phones-2
মোবাইলফোনের ইতিহাসঃ 
সবকিছুরি কোন না কোন ইতিহাস আছে। আমাদের পৃথিবী সৃষ্টির যেমন ইতিহাস আছে ঠিক তেমনি আছে মোবাইলফোন সৃষ্টিরো একটি ইতিহাস। তবে সময় স্বল্পতার কারনে আমি সম্পূর্ণ ইতিহাস এখানে তুলে ধরতে চাইছি নাহ। আর যেহেতু Wikipedia তে বিস্তারিত আছেই তবে সেখানেই দেখা যাক।  
40Years-Cooper
সময়টা ৩ এপ্রিল ১৯৭৩ সাল। বিশ্ববিখ্যাত কোম্পানি মট্ররলা (Motorola)  নিয়ে আসে আমাদের জন্য একটি হাতে নিয়ে ঘুরা যায় এমন সুবিধাভিত্তিক মোবাইল ফোন। যা কিনা আমরা আমরা পেয়েছি Motorola কোম্পানির engineer and executive “ Martin Cooper” এর অবদানে।
মোবাইলটির তখনকার ওজন ছিল প্রায় ২.৫ পাউন্ড এবং লম্মবায় ছিল ৯ ইঞ্চি! ৫ ইঞ্চি গভির ও ১.৭৫ ইঞ্চি চওড়া :D
আজ এই মুহূর্তে ৪ দশক পরঃ 
না আপনার জীবনযাত্রা ৪০ বছর আগের ২.৫ পাউন্ডের কোন মোবাইল ফোন পাল্টে দিতে সক্ষম ছিল নাহ। এই পাল্টে যাওয়ার মুহূরূর্তটা শুরু হয়েছে গত ১০-১৫ বছর ধরে। তবে উৎপত্তিটা শুরু হয়েছিল সেখান থেকেই।
14415805-cell-phone-man-character-giving-a-thumbs-up
আর আজ ৪০ বছর পর এসে মোবাইল ছাড়া চলার কথা আমরা ভাবতেও পারি নাহ। আজ ছোট-বড় সবার কাছেই মোবাইল দেখতে পাওয়া যায়। তা বিত্তবান থেকে শুরু করে নিম্নআয়ের মানুষ পর্যন্ত।
আজ আমাদের বিশেষ কোন কারন ছাড়া ব্যবহার করতে হচ্ছে নাহ চিঠি। আমাদের দূরদূরান্ত থেকে সংবাদ পৌছাতে আসতে হচ্ছে নাহ সমুদ্র পেরিয়ে। অপেক্ষা করতে হচ্ছে নাহ একটি জবাবের আশায় দিনের পর দিন।
0913ccd2ba527c520c96a132ae464d30
“মোবাইল” শুধুই কি কথা বলার যন্ত্র?ঃ 
কিছুদিন আগেও উত্তর ছিল হ্যাঁ। মোবাইল হচ্ছে কথা বলার যন্ত্র। যা দ্বারা আমাকে  দিতে হচ্ছে না কারো সাথে যোগাযোগ করতে বহু ক্রোশ পারি :) ।
হ্যাঁ আমাদের এখন আর বহু পথ হেটে বহু ক্রোশ দূরে যেতে হয় নাহ কারো সাথে কথা বলার জন্য। এছাড়াও আমাদের এখন আর আরো অনেক কিছুর জন্যই কষ্ট করতে হয় নাহ । আসছি সেসব কথার কিছু ছোট্ট উদাহারন নিয়ে ;) ।
cell-phone
সাথেই আছে ক্যামেরাঃ
brando-mobile-phone-camera-telescope
হ্যাঁ এখন আমাদের সাথেই থাকে ক্যামেরা। এখন আর আমাদের কোন অনুষ্ঠানে এক্সট্রা কোন ক্যামেরা নিতে হয় নাহ। ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে বাড়তি ঝামেলা তো নিতেই হয় নাহ সাথে আর নেই পুরনো দিনের ফ্লিম ক্যামেরার কথা নাই বললাম। যেটাতে কিনা ১১৫ টাকা করে ফ্লিম কিনে ঢুকাতে হতো ৩০/৩৬ টি ছবি উঠানোর জন্য :( ।
DSC02166
মোবাইল মাল্টিমিডিয়া (একের ভেতর অধিক)ঃ 
অডিও, ভিডিও আর এফএম প্লেয়ারের কথা নাই বললাম। এখন মোবাইলে টিভি পর্যন্ত দেখা যায়। এখন আর কাওকে কিনতে হয়না টেপ রেকর্ডার, সিডি/ডিভিডি প্লেয়ার। আমার এখনো মনে আছে এইতো সেদিন আমি নিজেই অডিও/ভিডিও শুনার/দেখার জন্য সিডি/ডিভিডি কিনেছি। আর এফএম শুনার জন্য কিনেছিলাম ১৩০ টাকা দামের ছোট্ট রেডিও :D  
mobile-multimedia-vector-743335
আর এখন? এখন আমাদের কোন কিছু আলাদা করে শুনার জন্য আলাদা আলাদা কিছুই কিনতে হচ্ছে নাহ। হচ্ছে নাহ এক্সট্রা কোন রেডিও/ডিভিডি বা MP3 প্লেয়ার কেনার। আজ মাত্র ২৫০০ টাকার মধ্যেই আমি ভালো কোয়ালিটির একটি মোবাইলেই এসব কিছু পেয়ে যাচ্ছি :) ।
মোবাইলে সোশিয়াল নেটওয়ার্কিংঃ
Mobile-social-media
মোবাইলে এখন আমরা বিশ্ব ঘুরি। যোগাযোগ রক্ষা করি বিভিন্ন সোশিয়াল নেটওয়ার্কে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারি এই মোবাইল থেকেই ইন্টারনেট ব্রাউজ করে থাকে। হয়তো আমার এই লেখাটিও অনেকে মোবাইল দ্বারাই পড়ছেন।
শুধুই কি মাল্টিমিডিয়া আর সোশিয়াল নেটওয়ার্কিং??ঃ 
তা হবে কেন? এই বিশ্বে মোবাইল দ্বারা আরো অনেক কাজ হচ্ছে। তবে  মাল্টিমিডিয়া আর সোশিয়াল নেটওয়ার্কিং  টাই বেশি হচ্ছে বিধায় সর্বপ্রথম এই বিষয় টা চলে আসছে। চলুন দেখে নেই মোবাইল দ্বারা এই বেস্তময় জীবনে আরো কিছু কাজের উদাহারনঃ
১/ আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্ট এখন চেক করতে পারছেন আপনার মোবাইল দ্বারাই। আপনাকে আর কষ্ট করে ব্যাংকে যেতে হচ্ছে নাহ আপনার একাউন্টে কতো এমাঊন্ট আছে তা জানার জন্য।
Mobile-banking
২/ আপনাকে এখন আর ট্রেন,বাস অথবা খেলার টিকিট কাটবার জন্যও বিরক্তিকর লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে নাহ। বিভিন্ন ফোন কোম্পানিই আপনাকে দিচ্ছে আপনার মোবাইল দ্বারা এইসব সুবিধা ভোগকরার উপায় বাতলে।
৩/ আজকাল তো লাইট/ফ্যান ,কম্পিউটার চালু করা সহ গাড়িও চালনা করা যাচ্ছে মোবাইলের কিছু বিশেষ এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে।
আর এভাবে যদি বলতে থাকা হয় তবে কতোটা সময় যে মোবাইলের গুণগান করতে হবে এ সম্পর্কে বলা আসলেই সম্ভবনয়। মূলত আমরা বুঝতে চেয়েছিলাম যে ৪ দশক পেরিয়ে আজ এই মোবাইল আমাদের জীবনের সাথে কতোটা জড়িয়ে গিয়েছে।
অবশেষে সারমর্ম এটাই যে আমাদের জীবনের সাথে মোবাইল এতোটাই জড়িয়ে গেছে যে আমাদের মোবাইল থেকে দূরে থাকা আসলেই সম্ভব নয়। আর এই উন্নত বিশ্বে মোবাইল থেকে আমরা দূরে থাকতেও চাই নাহ। আমরাও এগিয়ে যেতে চাই সকলের সাথে তালমিলিয়ে। অযথা পিছিয়ে থাকার কোন মানে হয় নাহ :) ।
শেষে একটি কথা বলতে চাই যে। এই ব্লগিং দুনিয়ায় আমি একজন নতুন পাপী। আমার অনেক ইচ্ছের মধ্যা একটি ইচ্ছে ভালো একজন ব্লগার হওয়া। ব্লগিং আসলেই আমার অনেক পছন্দের। আমি যতোটা সম্ভব ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। আশা করছি কোনএকদিন আপনাদের প্রিয় একজন ব্লগার হতে পারবো ইনশাল্লাহ :D  

চিনি চিনি মনে হয় তবু চিনি না! প্রথম বিকল্প চিনি স্যাকারিন আবিষ্কারের কথা।


ছ্যাকা শব্দটার সাথে সবসময় একটা বেদনা মেশানো থাকে। যে ছ্যাকা খায় তার জন্য একটা করুনা কাজ করে মনের ভেতর। বাংলা সাহিত্যে ছ্যাকামাইছিন বলে একটা শব্দ আছে। তবে ছাকারিন টা কি? যে ছ্যাকা দিয়ে বেড়ায় সেই তবে কি ছ্যাকারিন? আসলে ছ্যাকার সাথে সম্পর্ক না থাকলেও জিনিসটার নাম ছ্যাকারিন।
ডায়াবেটিক রোগীর জন্য বিষের চেয়ে ভয়ংকর জিনিস হলো মিষ্টি। আজকের দিনে ডায়াবেটিকস রোগীর হাতে মিষ্টির প্লেট দেখলে কেউই অবাক হবেন না। কারণ সবাই জানেন তাদের জন্য আছে ডায়াবেটিক চিনি। ডায়াবেটিক চিনি টা আসলে কি? চিনির বিকল্প কি? অবশ্যই স্যাকারিন। স্যাকারিন আবিষ্কারের গল্পটাও মজার। বিজ্ঞানীর অজান্তেই আবিষ্কার হয়ে গেল স্যাকারিন। কিন্তু কিভাবে?
১৮৭৯ সালের কথা। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরস রেমসেনের সাথে ল্যাবে কিছু রাসায়নিক পদার্থের সংশ্লেষণের উপর গবেষণা করছেন কনস্টাইন ফাহলবার্গ। কাজের প্রচুর চাপ। আর বিজ্ঞানীরা সাধারণত পাগলা কিছিমের হন। তারা গবেষণার বাইরে বাকী সব কিছুকে ফাঁকি দিয়ে ভূলে থাকতে পারেন। ফাহলবার্গ হাতে করে কিছু সামগ্রী বাসায় নিয়ে এলেন। অবসরটুকু কাজে লাগাবেন এমনি কোন ফন্দি কাজ করছিলো মাথায়। সব কিছু ভূলে থাকা গেলেও ক্ষুধাকে ভোলা অত সহজ নয়। ফাহলবার্গ এর পেট জানান দিলো ক্ষুধা লেগেছে। কিচেন থেকে কিছু খাবার নিয়ে চটপট খেতে বসে গেলো ফাহলবার্গ।
খাওয়ার সময় ফাহলবার্গ থমকে গেলো। সে তার খাবার গুলোতে চোখ বুলিয়ে নিলো। নাহ চিনিজাতীয় কিছুই তো এখানে নেই। তাহলে তার হাতের রুটিটাকে মিষ্টি লাগছে কেন! কিছুটা ভাবনা চিন্তার পরে ফাহলবার্গ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলো যে এই মিষ্টতার উৎস তার হাতের আঙ্গুল। আর আঙ্গুলের মিষ্টতার উৎস গবেষণাগারে যে রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে কাজ করছেন সেগুলো। তিনি এই চিনিজাতীয় পদার্থের উপর আরো বেশী গবেষণা চালাতে লাগলেন। একস্ময় তিনি ফলাফল পেয়ে গেলেন। নিজেই প্যাটেন্ট নাম হিসেবে নিবন্ধন করলে্ন। এই কারণে ইরা রেমেনসেন রাগ করেছিলেন।
ফাহলবার্গের আবিষ্কার খাদ্য শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পেরেছে। বছর না ঘুরতেই বাজারে স্যাকারিন যুক্ত খাবার পাওয়া যেতে লাগলো। স্যাকারিনে ক্যালরি পাওয়া যায় না। তাই এটা শরীরের জন্য পুষ্টিকর নয়। আমেরিকার খাদ্য ও ওষুধ অধিদপ্তরের মানদণ্ড অনুসারে একটি সাধারণ মিষ্টিতে কমপক্ষে ক ক্যালরি থাকে কিন্তু স্যাকারিনে থাকে শুন্য ক্যালরি। পুষ্টিকর না হলেও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য স্যাকারিন আশীর্বাদ স্বরূপ। জিভে মিষ্টির স্বাদ কে না পেতে ভালবাসে। রক্তে উচ্চমাত্রায় চিনির উপস্থিতিকে বলে ডায়াবেটিক্স।

আসল নকল ডিম চিনে নিন




আপনারা অনেকেই হয়ত শুনেছেন নকল ডিমের কথা, অনেকেই হয়ত শুনেননি। প্রথমেই আসি নকল ডিম কি? নকল ডিম হলো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে মানুষের তৈরীকৃত ডিম যা দেখতে আসল ডিমের মতই। চায়নায় এগুলো ডিমের পরিপূরক হিসেবে তৈরী করা হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।আরো কিছু দেশে এই নকল ডিমগুলো আসল ডিমের সাথে মিশে বাজারে বিক্রি হচ্ছে , আমরাও এই আশংকার বাইরে না । তাই সচেতন হতে হবে সবাইকেই

নকল ডিম তৈরির উপাদানঃ

নকল ডিম তৈরী করা হয় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, রেজিন,এলাম, জিলাটিন, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, কালারিং ডাই ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে। ডিমের খোলস তৈরী করা হয় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, সাদা অংশ তৈরী করা হয় রেজিন,এলাম, জিলাটিন ,ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড  এবং কুসুম তৈরীতে কালারিং ডাই ব্যবহার করা হয়।

আসল নকল ডিম কিভাবে চিনে নিবেনঃ

১.নকল ডিম আসল ডিমের চেয়ে বড় ও খোলস অমসৃন হয় । তাই বড় ডিম দেখে খুশী হবেননা।
 ২. নকল ডিমের কুসুমের রং গাঢ় হয়।
৩. যখন নকল ডমি ভাঙ্গা হয় তখন কুসুম দ্রুত ছড়িয়ে যায় এবং সাদা অংশরে সাথে মিশে যায়।
৪. নকল ডিম ভাজলে কুসুম ও সাদা অংশ পার্থক্য করা যায় না, সিদ্ধ করলেও অস্বাভাবিক দেখা যায়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
১.নকল ডিমে ব্যবহারকৃত ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড লিভারের এবং বেনজয়িক এসিড ব্রেইনের স্নায়ুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
২. খোলস ছাড়া কৃত্রিম ডিম দেখতে কেমন নিচের ছবিতে দেখে নিন।
৩. সোনার ডিমের কথা আমরা গল্পে অনেক পড়েছি, যদিও সোনার ডিম দেয়া হাঁস/ মুরগী নেই কিন্তু সোনার ডিম আছে।

Saturday, May 25, 2013

➨ ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধির গোপন উপায় (পর্যায় 2) ! Get Ready For Fastest Internet Experience… !!


আমরা সবসময় ইন্টারনেটের সীমাহীন পরিমন্ডলে যথাসম্ভব দ্রুততার সাথে চলতে চাই। এই কারনে বিভিন্ন উচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ষ্ঠানের সরণাপন্ন হই। ভাল ডেফিনেশনের কম্পিউটার ব্যাবহারের চেষ্টা করি। ইন্টারনেটেরসারভারগুলোও সময়ের সাথে সাথে আপগ্রেড করা হয় উচ্চ গতির তথ্য বিনিময়ের উদ্দেশ্যে।

কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনেককিছুই পরিবর্তিত হলেও আমাদের ইন্টারনেটের গতি পড়ে আছে সেই মান্ধাতার আমলে। অনেক সময় দেখা যায়, উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ নেয়ার পরেও ব্যবহারের সময় আশানুরূপ গতি আমরা পাই না। এর বিভিন্ন কারন রয়েছে। নীচে আপনার ইন্টারনেটের গতি তুলনামূলক বৃদ্ধি করার কিছু উপায় দেয়া হল।

 

 ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করার ১০টি সাধারণ উপায়

১) প্রথমে সফল ভাবে আপনি যে সংযোগটি ব্যবহার করেন, সেটি দিয়ে ইন্টারনেটে যুক্ত হোন।

এখন www.speedtest.net ঠিকানা থেকে আপনার বর্তমান ইন্টারনেটের গতি দেখে আসুন কিংবা আপনার পরিচিত কোন সাইট থেকে নিদৃষ্ট পরিমান সাইজের কোন ফাইল নামান। এটি হতে পারে 1MB এবং একই সাথে কত সময় লাগে ফাইলটি ডাউনলোড হতে তা লক্ষ করুন।

স্পিড দেখুন…

২)এবার কানেকশনটি Disconnect করে দিয়ে মডেম/ডিভাইসটি লাগানো অবস্থায় আপনি আপনার কম্পিউটারের Run এ গিয়ে লিখুন compmgmt.msc এবং কিবোর্ড থেকে Enter চাপ দিন। অথবা My Computer এর উপর Right Click করে Manage অপশনটি ক্লিক করুন। কম্পিউটার Management চালু হবে।

এবার বামে থাকা Device Manager ক্লিক করলে ডানে আপনি আপনার কম্পিউটারের ডিভাইসগুলোর লিষ্ট দেখতে পারবেন। এখান থেকে Ports(Com & Lpt) আইকনের বা’দিকের (+) চিন্হটিতে ক্লিক করুন। আপনার কম্পিউটারে সংযুক্ত সকল ডিভাইসের কমিউনিকেশনের পোর্ট দেখতে পাবেন। এখান থেকে Communications Port এর উপর ডবল Click করুন

Properties Open হবে।

এখান থেকে Port Settings ট্যfবটিতে যেয়ে Bit per Second ক্লিক করে সর্বোচ্চ মান (128000) সিলেক্ট করুন। Data Bits সর্বোচ্চ (8) এবং Advance অপশনে যেয়ে রিসিভ এবং ট্রানেসফার বাফার High দেয়া আছে কি’না লক্ষ করুন।

৩) একই উপায়ে Communications Port এর নীচে থাকা আপনার মডেমটি যদি Show করে তবে সেটির ক্ষেত্রেও Port Settings ট্যfবটিতে যেয়ে Bit per Second ক্লিক করে সর্বোচ্চ মান (128000) সিলেক্ট করুন। Data Bits সর্বোচ্চ (8) এবং Advance অপশনে যেয়ে রিসিভ এবং ট্রানেসফার বাফার High দেয়া আছে কি’না লক্ষ করুন।

৪) Run > compmgmt.msc > Computer Management থুলে আপনার Modems অপশনটিতে ডবল ক্লিক করে Properties এ যান এবং Port Settings ট্যfবটিতে যেয়ে Bit per Second ক্লিক করে সর্বোচ্চ মান (128000) সিলেক্ট করুন। (অবশ্যই মডেমটি লাগানো ও ডিসকানেক্ট করা অবস্থায়)

৫) প্রতিবার ইন্টারনেটে যুক্ত হওয়ার পূর্বে Control Panel থেকে Network Connection এ যেয়ে আপনার কানেকশনটিতে ডবল ক্লিক করে Properties অপশনটিতে গিয়ে Configure অপশনটি ক্লিক করুন এবং Maximum Speed সর্বোচ্চ রয়েছে কি’না দেখুন।

না থাকলে সর্বোচ্চ মান (921600) ঠিক করে দু’বার Ok করুন। তবে অবশ্যই কানেকশনটি Disconnect করে দিয়ে মডেম/ডিভাইসটি লাগানো অবস্থায়।

৬) বারবার ৫ নং টিপসটি অবলম্বনের বিরম্বনা এড়াতে ‘Network Connection’ এ যেয়ে আপনার কানেকশনটির একটি Shortcut লিংক তৈরি করে Desktop এ রেখে দিন এবং পরবর্তিতে শর্টকাট ব্যবহার করে ইন্টারনেটে যুক্ত হোন।

 

*** গোপন টিপসঃ

৭) ইন্টারনেটে যুক্ত থাকা অবস্থায় Run > taskmgr > Ok করে অথবা Ctrl+Alt+Delete চেপে টাস্ক ম্যানেজার ওপেন করুন।

সেখানের Application ট্যাব থেকে আপনার নেটওয়ার্ক কানেকশনের Application –টিতে Right/ডান ক্লিক করে Go To Process –এ যান। Process ট্যাবে নেটওয়ার্ক কানেকশনের Application-টির প্রসেস দেখাবে।

উক্ত Process এর উপরে Right Click করে Set Priority থেকে  ‘AboveNormal’ সিলেক্ট করে দিন।

৮) ইন্টারনেটে যুক্ত থাকা অবস্থায় একই প্রক্রিয়ায় টাস্ক ম্যানেজার ওপেন করুন।

সেখানের Application ট্যাব থেকে আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজার Application (যেমন Mozilla Firefox) –টিতে Right ক্লিক করে Go To Process –এ যান। Process ট্যাবে ইন্টারনেট ব্রাউজার Application-টির প্রসেস দেখাবে।

উক্ত Process এর উপরে Right Click করে ‘Set Priority’ থেকে ‘High’ সিলেক্ট করে দিন।

৯) ৭ এবং ৮ নং –এ বর্নিত কাজ প্রত্যেক বার Application চালু করার পরে করতে হবে।

কেননা Application বন্ধ করলে উক্ত সেটিংস পরিবর্তন হয়ে যায়।

এছাড়া অতিরিক্ত গতির আশায় Priority রিয়েল টাইমে দিবেন না। এতে করে আপনার কম্পিউটারে প্রসেসরের উপরে অতিরিক্ত চাপের সৃষ্টি হয় এবং কিছু সময় পরে আপনার কম্পিউটার রিষ্টার্ট নিতে পারে।

১০) এখন পূনরায় প্রথম পদ্ধতি অনুসরন করে দেখুন যে আপনার কম্পিউটারের গতি পূর্বাপেক্ষা বেড়েছে কি’না।

এখন এতটুকুই। পোষ্টটি ভালো লাগলে/মন্দ লাগলে/সমস্যা থাকলে জানাবেন। ভালো লাগলে অনুপ্রেরনা দিতে ভুলবেন না।

সকলে ভালো থাকবেন এই কামনায় আজকের মত আল্লাহ্হাফেয।


বাড়িয়ে দিন আপনার BROWSER এর গতি!!!


বারিয়ে দিন আপনার BROWSER এর গতি । এটা যেকোন  BROWSER আপনি করতে পারেন ।এর মাধ্যমে আপনি আপনার  BROWSER এর গতি  ৫০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবেন । কিন্তু এর জন্য আপনার মোটামুটি মানের  একটা  কম্পিউটার ও internet  connection থাকলেই চলবে । এরজন্য আপনাকে যা করতে হবে……..

(১) প্রথমে  SOFTWARE  এই টা  DOWNLOAD দিতে হবে ।
(2) এর পর INSTALL  দিতে হবে ।
(৩)এর পর  এই SOFTWARE   টি RUN করান ।
(৪) চিনহ্নিত স্থান থেকে আপনার BROWSER  টি  SELECT  করুন ।
(৪) এরপর  চিনহ্নিত স্থানে টিক দিন
(৫)আপনার প্রয়োজন মত গতি বারান
(৬) এবার APPLY  এ CLICK  করুন
এখন আপনি যে BROWSER  টি  SELECT করেছিলেন সেই BROWSER  টি দিয়ে  BROWSER  করুন ।
এরপর মজা দেখুন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!